সত্য
প্রেম
পবিত্রতা
ক্রমিক |
কার্যক্রম |
Link |
১ |
একজন মুক্তিযোদ্ধার বীরগাঁথার বর্ণনা | |
২ |
প্রধান অতিথি-অধ্যক্ষ মহোদয়ের কক্তব্য | |
৩ |
আহবায়ক ও সভাপতির বক্তব্য | |
৪ | একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানানো | Click to View |
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানমালাঃ
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ১২ মার্চ ২০২২ তারিখ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ আয়োজন করেছিল সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে আহবায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালনকরেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মনোজ হালদার। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত বীরগাঁথা শোনার জন্য আহবান করা হয়েছিল যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এএমজি কবির বুলু ভাইকে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন তার সাথে ঘটে যাওয়া লোমহর্ষক কাহিনী বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঊপস্থিত ছিলেন মান্যবর অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, বিশেষ অতিথি উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ এস কাইউম উদ্দিন আহম্মেদ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক জনাব মোঃ আলঅমিন সরোয়ার, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার (যা মুজিবনগর সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জনগনের রায়ে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশের জনগণের প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু হলেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য মুক্তিবাহিনী সংগঠন ও সমন্বয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় এবং এই যুদ্ধে প্রত্যক্ষ সহায়তাকারী রাষ্ট্র ভারতের সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক রক্ষায় এই সরকারের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। এই সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ প্রবল যুদ্ধে রূপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়।
বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিদান এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টির লক্ষে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের একটি প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী মে মাসের প্রথমদিকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করেন। ১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বীরত্বসূচক খেতাবের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। এ পরিকল্পে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল: (ক) সর্বোচ্চ পদ, (খ) উচ্চ পদ, (গ) প্রশংসনীয় পদ, (ঘ) বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র।
নামঃ হামিদুর রহমান
কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী
জন্মঃ ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৩
সেক্টরঃ ০৪
মৃত্যুঃ ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সাল
নামঃ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী
জন্মঃ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭
সেক্টরঃ ০২
মৃত্যু তারিখঃ ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল
নামঃ মোঃ রুহুল আমিন
কর্মস্থলঃ নৌবাহিনী
জন্মঃ ১৯৩৪ সাল
সেক্টরঃ ০৩
মৃত্যু তারিখঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল
নামঃ মুন্সী আব্দুর রউফ
কর্মস্থলঃ বিজিবি
জন্মঃ ১ মে, ১৯৪৩
সেক্টরঃ ০১
মৃত্যু তারিখঃ ২০ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল
নামঃ মতিউর রহমান
কর্মস্থলঃ বিমানবাহিনী
জন্মঃ ২৯ অক্টোবর, ১৯৪১
সেক্টরঃ জানা নাই
মৃত্যুঃ ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট
নামঃ নূর মোহাম্মদ শেখ
কর্মস্থলঃ বিজিবি
জন্মঃ ২৬ এপ্রিল, ১৯৩৬
সেক্টরঃ ০৮
মৃত্যুঃ ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সাল
নামঃ মহিউদ্দিন জাহাংগীর
কর্মস্থলঃ সেনাবাহিনী
জন্মঃ ১৯৪৯
সেক্টরঃ ০৭
মৃত্যুঃ ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল